শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৫২

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
মাদক ব্যবসায়ী সন্তান আমি পেটে ধরিনি : মনির মোল্লার মা

মাদক ব্যবসায়ী সন্তান আমি পেটে ধরিনি : মনির মোল্লার মা

dynamic-sidebar

মাদক ব্যবসার মামলায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লার আদাতলে আত্মসর্ম্পন করার সংবাদ এখন টক অব দ্য টাউন। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মাঝে এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। তবে পুরো বিষয়টিকে দীর্ঘ ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর। একই কথা বলেছেন মনির মোল্লার মা রাহিমা এছাহাক। আদালতে আত্মসর্ম্পনের পর ২৮ এপ্রিল রাতে মুঠোফোনে কথা হয় মনির মোল্লার মায়ের সাথে।

তিনি বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার ঔরসে ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্তান ধারণ করবো সেই মা আমি না। আমার বড় সন্তান কাউন্সিলর। মেজ সন্তান মনির সাংগঠনিক সম্পাদক। মূলত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়ার পরই চক্ষুসূল হয়ে যায় মনির।

স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৯৬ সালে আমার স্বামীকে খুন করেছিল যারা তারাই আজ আমার পরিবারকে নিয়ে চক্রান্ত করছে। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা এছাহাক আলীর স্ত্রী রাহিমা এছাহাক বলেন, যদি আমার সন্তানরা ইয়াবা ব্যবসা করতো তাহলে তাদের পিতার মৃত্যুর পর ২৩ বছর ধরে কেন তা করেনি? যখন আমার সংসারে অভাব-অনটন চলছে তখনতো কেউ বলতে পারেনি মনির মাদক ব্যবসা করে। এখন আমার সন্তানেরা স্বচ্ছল। তাহলে এখন কেন মাদক ব্যবসা করে চলতে হবে।

তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আসামীর তালিকায় নাম নেই। তদন্তে কিভাবে দুটি মামলায় নাম আসে মনিরের সেটাও খতিয়ে দেখার বিষয়। আদালতে যদি সাজাও হয় তারপরও আমি এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। তাকে বলবো, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা যখন না খেয়ে ছিল তখন মাদক ব্যবসা করেনি। যখন আপনার দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলো তখন কিভাবে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়? এর উত্তর তাকেই দিতে হবে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন সত্তোর বছর বয়সী এই নারী।

রাহিমা এছাহাক জানান, রূপাতলীর স্ট্যান্ড রাজনীতি আর ক্ষমতা দখলে নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কয়েকজন মিলে আমাদের দাবিয়ে রাখতে যুগযুগ ধরে চেষ্টা করছে। অমি শুনেছি শুধু তদন্তে মনিরের নাম আনার জন্য লাখ লাখ টাকা দিয়েছে স্থানীয় কিছু মানুষ। তিনি উল্লেখ করেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার, ২৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ তার ভাই কবির মাহমুদ, ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদ্যুৎ কর্মকার পিংকু এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির কতিপয় নেতৃবৃন্দ মনির মোল্লাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজাতে সকল ষড়যন্ত্র করেছে।

বর্ষীয়ান এই নারী বলেন, আদালতের ওপর আমার পূর্ণাঙ্গ আস্থা আছে। রাজনৈতিক কারণে হেয় হলেও আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net